যে যে লক্ষন দেখলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে
- ডায়াবেটিক বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশে ডায়াবেটিক আক্রান্তদের ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ টের পান
না যে তারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্য কোন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়ে তাদের রোগটি ধরা পড়ে।
||ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসা ব্যয়||
70 লাখ
ডায়াবেটিস রোগী
একজন ডায়াবেটিস রোগীর গড় খরচ
2000.00 টাকা
প্রতি বছরে গড় খরচ হয় 16,800
কোটি টাকা।
সূত্র :বাংলাদেশ ডায়াবেটিস এসোসিয়েশন
সম্পর্কিত খবর:
গবেষণা: দু'ধরণের নয়, ডায়াবেটিস আসলে পাঁচ ধরণের
👉 ডায়াবেটিস সম্পর্কে যেসব জানা জরুরি
👉 ওজন কমিয়ে বহুমূত্র রোগ সারানো সম্ভব
👉বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে ডায়াবেটিস কেন বাড়ছে?
বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ. কে. আজাদ খান বলেন, ''ডায়াবেটিস আছে এমন রোগীদের অন্তত ৫০ শতাংশ জানেন না যে, তার ডায়াবেটিস আছে। এ কারণে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি খুব জরুরি।
'' জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট)-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, দেশে মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৬ লাখ আর ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৮৪ লাখ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অশনাক্ত থাকলে বা চিকিৎসা না হলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে শরীরের ত্বক নষ্ট হয়ে যায়, চুল পড়ে যায়। শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও ক্ষতির শিকার হতে পারে।
মি. সাইফুদ্দিন বলছেন, ''যারা যত বেশি শারীরিক পরিশ্রম করবেন, প্রতিদিন যদি অন্তত ১০ হাজার কদম কেউ হাঁটেন, তাহলে ডায়াবেটিক হলেও সেটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। কিন্তু সেটা কতজন করেন?''
তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, ''কেউ ডায়াবেটিক হলে অবশ্যই তার জীবনযাপনে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে।''
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাইপ-২ ধরণের ডায়াবেটিসের ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই আগেভাগে সতর্ক থাকলে, শারীরিক পরিশ্রম করলে এবং খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনলে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু একবার ডায়াবেটিস হয়ে গেলে আর এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।
যে সব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে:
- ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া ও পিপাসা লাগা
- দুর্বল লাগা' ঘোর ঘোর ভাব আসা
- ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
- সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না হলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হওয়া
- মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া
- কোন কারণ ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া
- শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলেও দীর্ঘদিনেও সেটা না সারা
- চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব
- বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা
- চোখে কম দেখতে শুরু করা
0 Comments